রকেট স্টিমার–খুলনা–আশির দশক
শুধু রকেট স্টিমারে চড়তেই প্রতিবছর হাজার হাজার বিদেশী পর্যটক ছুটে আসতেন বাংলাদেশে! অথচ আমাদের দেশের মানুষ এই প্যাডেল স্টিমারগুলোর ঐতিহ্যের ব্যাপারে জানেও না!
©ঢাকার গণপরিবহন
১৯’শতকের হারিয়ে যাওয়া সেই বিখ্যাত রকেট স্ট্রিমার যা প্যাডেল স্টিমার নামেও খ্যাতো!
সেই সময়ে ঢাকা চাঁদপুর বরিশাল খুলনা রুটে প্রায় নিয়মিত যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই প্যাডেল স্টিমার গুলো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে নদীপথে আরো নতুন নতুন বিলাসবহুল নৌযান যুক্ত হওয়ার পরে এসব প্যাডেল স্টিমার গুলো এখন বর্তমানে এরকমই অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে 🌻
📍 বুড়িগঙ্গা ২ নং সেতু (বাবুবাজার ব্রিজ)
“”ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার “”
প্যাডেল স্টিমার পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্নকে রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।
একসময় ঢাকা-কলকাতা নৌপথে চলাচল করত প্যাডেল স্টিমার। এ ধরনের নৌযানের দুপাশে বিশালাকৃতির দুটি হুইল বা চাকা দিয়ে চালানোর জন্যই এগুলোর নাম হয় প্যাডেল স্টিমার। দ্রুতগতির জন্য যাত্রীদের কাছে এসব নৌযানের নাম হয় রকেট। ঐতিহ্যবাহী রকেট-স্টিমারে ভ্রমণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ অনেক বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি।
লেপচা ১৯৩৮ সালে ও টার্ন ১৯৫০ সালে তৈরি করা হয়েছে।
পিএস অস্ট্রিচ ১৯২৯ সালে কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। বেলজিয়াম সরকারের আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তায় ১৯৮৩ সালে জাহাজটিকে স্টিম পদ্ধতি থেকে ডিজেলচালিত পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হয়। ১৯৯৬ সালে জাহাজে রিডাকশন গিয়ার সংযোজন করা হয়। এমন স্টিমারের দুই পাশে পাখা থাকে, যা চাকার মতো ঘোরে এবং জাহাজকে পানিতে চলতে সাহায্য করে। নৌ–প্রকৌশলীদের মতে, এই পাখার কারণেই বড় ধরনের ঝড়-বৃষ্টিতেও এসব জাহাজ নিখুঁতভাবে ভারসাম্য ধরে রাখতে পারে।
ঢাকার বিখ্যাত পাইকারি ফলের আড়তের সামনেই ” বাদামতলী ঘাট ” থেকে ছবি তোলা।