প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতদের নাম দীন ইসলাম ও কবির হোসেন।
আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ইমেইলে realmec55ksa@gmail.com হতে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি ইমেইল আসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ তাক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সিটিটিসিকে অবহিত করে। সিটিটিসি জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের সাথে আলোচনা করে। সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইমেইল প্রেরণকারীকে দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় গত বছরের ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতাসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে সিটিটিসি। এরপর সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ করে ইমেইল বার্তা প্রেরণকারী দীন ইসলামকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। হুমকির বার্তা প্রদানকারীর ইন্টারনেট অ্যাকটিভিটি পর্যালোচনা করে তার অবস্থান সৌদি আরবে বলে জানা যায়।
সনাক্তকৃত দীন ইসলাম ও তার সহযোগীদের সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনসিবি ইন্টারপোলের মাধ্যমে এবং একই সাথে ডিপ্লোমেটিক চ্যানেল ব্যবহার করে কার্যক্রম গ্রহণ করে সিটিটিসি। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে গত ২৯ জানুয়ারি সৌদি আরব সরকার দীন ইসলাম ও তার সহযোগী কবির হোসেনকে আটক করে বাংলাদেশে প্রেরণ করলে তাদেরকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গ্রেফতারের সময় দীন ইসলামের কাছ থেকে হুমকি প্রদানকারী ইমেইল অ্যাড্রেসটির রিকভারী মোবাইল নম্বরসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত দীন ইসলাম ও কবির হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।