দর্শক মণ্ডলী পর্দায় যে স্থাপনাটি দেখতে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশী গম্বুজের ২০১ গম্বুজ মসজিদ! মসজিদ টি নির্মিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দঃ পাথালিয়া গ্রামে, ২০১ গম্বুজ মসজিদের পাশেই নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে উঁচু ৪৫১ফুট তথা ৫৭ তলার সমান উচু মিনার যা দিল্লীর কুতুব মিনারের চাইতে প্রায় দ্বিগুণ । আল্লাহর ঘর এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলতে সহায়ক হবে এবং প্রচুর বিদেশি পর্যটক ও অলি আউলিয়ার আগমন ঘটবে বলে মনে করছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট । মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। অত্যাধুনিক মার্বেল পাথর ও টাইলস দ্বারা ইসলামিক কারুকাজ করন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । নির্মাণাধীন ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে থাকছে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা, মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল সেখানে লেখা থাকবে আল্লাহর ৯৯টি পবিত্র নাম ,নিরাপত্তার জন্য রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী এবং থাকবে সিসি টিভি ক্যামেরা, মিহরাবের উপরে পবিত্র কালেমা “লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ” (সাঃ) লেখা হবে স্বর্ণ দিয়ে, নির্মাণ করা হচ্ছে সুবিশাল ওযুখানা, মসজিদটি প্রতিটি গম্বুজের উপর ও নিচে অত্যাধুনিক ইসলামিক কারুকার্যে সাজানোর জন্য চীন, ইতালি থেকে আমদানি করা হয়েছে মার্বেল পাথর, টাইলস ও অন্যন্য উপকরন , মসজিদের নিজস্ব ২টি হ্যালিপ্যাড । ৪৫১ ফুট অর্থাৎ প্রায় ৫৭ তলার সমপরিমাণ বিশ্বের সবচেয়ে উচুঁ ইটের তৈরি মিনার থেকে প্রচারিত হবে আযানের সুমধুর ধ্বনি । মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ৫ম তলা আলাদা ভবন। মেহমানদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আলাদা ডাক বাংলো! ২০১ গম্বুজ মসজিদের আইটি অফিসার মোঃ রুবেল আহমেদ জানিয়েছেনঃ মসজিদটির সার্বক্ষণিক আপডেট জানানোর জন্য রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড গুগল প্লাস পেইজ, ফেইসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেল ।
ইতোমধ্যেই (নির্মাণাধীন অবস্থায়) মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক নির্মাণ কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন কিন্তু গ্রামের মধ্যে হওয়াতে যাতায়াত করার জন্য রাস্তাটি অতি দ্রুত সংস্কার ও বর্ধিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে । মাত্র ১৫ লাখ টাকা হাতে নিয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম, আল্লাহর ইচ্ছায় বিভিন্ন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত খরচ করতে সমর্থ হয়েছি, কেউ নির্মাণ কাজে শরিক হতে চাইলে মসজিদের সামনে থাকা দান বাক্সে বা ওয়েবসাইটে দেয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাংক একাঊন্টে পাঠাতে পারবেন । নির্মাতা আরো বলেন আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই আমার সকল সম্পদ বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টে দান করে দিয়েছি, মসজিদের পাশেই আমার খনন করা আছে আমার কবর এটাই আমার শেষ সম্বল । নির্মাতা আশা প্রকাশ করছেন এই বৎসরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ও পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। বন্ধুরা আমাদের দেশের গৌরব ২০১ গম্বুজ মসজিদ ও পৃথিবীর সর্বচ্চ মিনারের সংবাদ সবার মাঝে বেশী বেশী লাইক ও শেয়ার করে সারাবিশ্বকে জানিয়ে দিন আমরা বাংলাদেশী আমরা মুসলমান আমরাও পারি ইসলামিক বৃহৎ স্থাপনা বিশ্বকে উপহার