Ityadi – ইত্যাদি trailer | On air 30 September 2016 | Hanif Sanket | Rangamati | Fagun Audio Vision
Program name: Ityadi (ITTADI) – ইত্যাদি
Shooting place: Rangamati
Writer: Hanif Sanket – হানিফ সংকেত
Director: Hanif Sanket – হানিফ সংকেত
Aired on: BTV and BTV World
Production: Fagun Audio Vision
This episode of Ityadi – ITTADI – ইত্যাদি was recorded in Rangamati.
The show will be first aired on the screen of Bangladesh Television (BTV) in September 30, 2016
Ityadi was hosted, directed and scripted by Hanif Sanket.
রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা: হানিফ সংকেত
প্রথম প্রচার: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্ন্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলোতে গিয়ে ‘ইত্যাদি’র মূল অনুষ্ঠান ধারণ করা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই। ‘ইত্যাদি’র এই দেশ পরিক্রমার ধারাবাহিকতায় আগামী পর্ব ধারণ করা হয়েছে মূলত পার্বত্য জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত রাঙ্গামাটিতে। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিজিবি সেক্টর হেড কোয়ার্টারের অভ্যন্তরে লেক, সবুজ বনানী-পাহাড় আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্য পরিবেষ্টিত সুউচ্চ হেলিপ্যাডে ধারণ করা হয় এবারের ‘ইত্যাদি’। শেকড় সন্ধানী এ অনুষ্ঠানে এবারের পর্বে রয়েছে ফেসবুক-এর ভিন্নতর ব্যবহারের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে সেবা দিতে এগিয়ে আসা সিরাজগঞ্জের এক যুবক মামুন বিশ্বাসের ওপর একটি প্রতিবেদন। রয়েছে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনাচার এবং রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত, দর্শনীয় ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোর ওপর তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন। রাঙ্গামাটিতে এমন কিছু দুর্গম অঞ্চল রয়েছে যেখানে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ তো দূরের কথা-কোনো টিভি ক্যামেরাও কখনও পৌঁছেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় সেসব স্থানে গিয়েও অনেক চিত্র ধারণ করা হয়েছে।
এবারের বিদেশি প্রতিবেদন করা হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁধ ও বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প নেদারল্যান্ডস্-এর ডেল্টা ওয়ার্কসের ওপর। এবারের ইত্যাদি’তে মূল গান রয়েছে একটি। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ বৈচিত্র্য, আর রাঙ্গামাটির চোখ জুড়ানো রঙ নিয়ে বহুশ্রুত এ গানটি গেয়েছেন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় শিল্পী রবি চৌধুরী এবং রাঙ্গামাটির চমচমি দেওয়ান। সঙ্গে ছিল স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে একটি ব্যতিক্রমী নাচ। যাতে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন পাহাড়ী সম্প্রদায় এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পীরা। এই নাচটিতে পারফর্ম করেছেন প্রায় শতাধিক স্থানীয় নৃত্যশিল্পী। নাচটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চারিদিকে লেক পরিবেষ্টিত অসাধারণ সুন্দর লোকেশন আরণ্যক রিসোর্টে এবং অংশবিশেষ মঞ্চে দর্শকদের সামনে ধারণ করা হয়। দর্শক পর্বে রাঙ্গামাটিকে ঘিরে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে হাজার হাজার দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে পরিচিতি ও স্থানীয় গানের মিউজিক শুনে সেই গান পরিবেশনের মাধ্যমে ২য় পর্বে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। যা ছিল বেশ উপভোগ্য।
নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও ‘ইত্যাদি’তে রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানী-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ন নাট্যাংশ। নতুন ভাবনার প্রকাশক, বিয়ের দাওয়াতে প্রযুক্তি, আদব-কায়দার একাল সেকাল, বিজ্ঞাপন বিরতির যন্ত্রণা, আবাসন ব্যবসার ভবিষ্যৎ রূপ, ফেসবুক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, তিরস্কারকে পুরস্কার ভাবাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। বরাবরের মতো এবারও ‘ইত্যাদি’র শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন অনুষ্ঠানের নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। এবারের ‘ইত্যাদি’তে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন-এসএম মহসীন, নাজমুল হুদা বাচ্চু, মাসুম আজিজ, সোলায়মান খোকা, কে.এস ফিরোজ, শবনম পারভীন, জিয়াউল হাসান কিসলু, আবদুল কাদের, আফজাল শরীফ, সুভাশিষ ভৌমিক, জিল্লুর রহমান, আমিন আজাদ, বিলু বড়ুয়া, কামাল বায়েজিদ, মুকুল সিরাজ, শেলী আহসান, জামিল, জাহিদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, সজল, ফাহিম, সাজ্জাদ সাজু, রবিন, ফরিদ, বাহারসহ আরো অনেকে। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মামুন মোহাম্মদ। সব শ্রেণি পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র আগামী পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে ৩০শে সেপ্টেম্বর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
Subscribe to our channel Fagun Audio Vision and watch more shows of Ityadi and creations of Hanif Sanket.
Warning:
This audio-visual element is copyrighted content of Fagun Audio Vision, Dhaka, Bangladesh. Any unauthorized publishing is strongly prohibited.